নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থল ও সমুদ্রসীমা নিয়ে সংঘাত রয়েছে। এখানকার বড় শক্তির দেশগুলোর মধ্যে আস্থার অভাব রয়েছে। এমনটাই মনে করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলবিষয়ক বিশেষ দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেন্টিন। এ অঞ্চলে ইইউ নিজেদের উপস্থিতি শক্তিশালী করতে চায় জানিয়ে বিশেষ দূত ভিসেনটিন বলেন, ইইউ চায় আঞ্চলিক শৃঙ্খলা নিয়মের ভিত্তিতে বজায় থাকুক। এ অঞ্চলে ইইউর বড় অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গ্যাব্রিয়েল ভিসেন্টিন বলেন, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ৬০ শতাংশ এ অঞ্চলে হয়। এ অঞ্চলে ইইউর প্রায় ১৬ লাখ নাগরিকের বসবাস। ইইউতে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ আসে এ অঞ্চল থেকে। ২০৩০ এর মধ্যে এ অঞ্চলের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বের হয়ে মধ্যবিত্তে পরিণত হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ থাকবে।
বিশেষ এ দূত বলেন, আমরা এখানে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধি চাই। যার মূলে রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক। এখানে আরও সবুজায়নের চাই। এ ছাড়া সমুদ্রে সুশাসন ও ডিজিটাল সুশাসন অংশীদারত্বের মতো বিষয়গুলোও চাই। সমুদ্রে সুশাসন বলতে অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ, সমুদ্রে দূষণ রোধ, সন্ত্রাসবাদ রোধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের আনক্লজ বাস্তবায়নের কথা বলছি। প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে আনক্লজ মেনে চলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি উদাহরণ।
তিনি বলেন, আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে অন্যতম কানেকটিভিটি। আর এটি আমাদের মূল ভিত্তি। এ ছাড়া আমরা নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমরা এখানে আমাদের উপস্থিতি শক্তিশালী করতে চাই। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের মিশন ভারত সাগরে মোতায়েন করেছি। যারা ইতিমধ্যে এখানকার অংশীদার দেশগুলোর নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এ ছাড়াও কোঅর্ডিনেটেড মেরিটাইম প্রেজেন্স নামে আরও একটি অপারেশন এখানে নামানো হয়েছে।
নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা নিয়ে তিনি আরও বলেন, এখানে আমাদের বেশ কিছু কার্যক্রম চলছে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করছি। যার মাধ্যমে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী সমুদ্রে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে পারবে। এর মাধ্যমে মাদক পাচার, অবৈধ মাছ শিকার থেকে শুরু করে অবৈধ অভিবাসনসহ পুরো সমুদ্রের প্রকৃত সময়ের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নজরদারি করতে পারবে। এর সঙ্গে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা উন্নয়নেরও সুযোগ রয়েছে।