মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির পৃথক অভিযানে গাঁজা ও ফেনসিডিল উদ্ধার রামপালে আগামী সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির প্রচার মিছিল বর্তমান; মসজিদের ইমাম খতিব পরিচালনা দায়িত্ব পালনে উচ্চ মানিও ইসলাম শিক্ষার সু শিক্ষিত হরিঢালী ইউনিয়নের (সাবেক) চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা,(জালাল উদ্দিন সাহেব) কালীগঞ্জে এক আওয়ামী প্রভাবশালী নেতার ভাই  জয় বাংলা থেকে দাঁড়িপাল্লা।  র‌্যাবের বেড়াজালে মোঃ বিল্লাল হোসেনসহ ৪ জন আটক মাদক ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা মহেশপুর সীমান্তে। চিরিরবন্দর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সবুজ শ্যামল ছায়ার শান্তির  নীড় মাটির ঘর গেন্ডারিয়া থানা পুলিশের বেড়াজালে আটক মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শামিম হোসেন জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন জামে মসজিদ সংলগ্ন একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসা উদ্বোধন  ফেইক আইডির ভূয়া সংবাদের প্রতিবাদ
বিজ্ঞপ্তি :

চিরিরবন্দর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সবুজ শ্যামল ছায়ার শান্তির  নীড় মাটির ঘর

 

মোঃ নুরুজ্জামান সরকার-

চিরিরবন্দর ( দিনাজপুর ) প্রতিনিধি :-

চিরিরবন্দরে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার চির ঐতিহ্য সবুজ শ্যামল ছায়া-ঘেরা শান্তির নীড় মাটির ঘর। যা এক সময় ছিল গ্রামের মানুষের কাছে মাটির ঘর গরীবের এসি বাড়ি নামে পরিচিত। কিন্তু কালের আর্বতে আজ হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘরগুলো।

 

মাটির ঘরের কদর কমিয়ে দিয়েছে সাম্প্রতিক বন্যা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই মাটির ঘর ঠান্ডা থাকায় এক সময় এটাকে গরীবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরও বলা হতো। এ ঘর গরমের সময় আরামদায়ক। তাই অনেক গ্রামেই বিত্তশালীদেরও দোতলা মাটির ঘরও ছিল। এখনও এ অঞ্চলের অনেক গ্রামে রয়েছে অথচ এ উপজেলায় কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর।

 

ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি তীব্র গরম ও কনকনে শীতে আদর্শ বসবাস-উপযোগী মাটির তৈরি এসব ঘর আগের মতো এখন আর তেমন একটা নজরে পড়ে না। শুধু মাটির বাড়িই নয়, ছিল ধান-চাল রাখার জন্য মাটির তৈরি গোলা ঘর ও কুঠি।

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,  উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এক সময় প্রতিটি ঘর ছিল মাটির তৈরি। কিন্ত আধুনিকতার স্পর্শে এখন মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। গ্রামীণ অর্থনীতির গতি সচল হওয়ায় মাটির ঘরের পরিবর্তে তৈরি হচ্ছে পাকা ঘর। কয়েক বছর পর পর মাটির ঘর সংস্কারের ঝক্কি-ঝামেলা ও ব্যয়বহুল দিক পর্যবেক্ষণ করে মাটির ঘরের পরিবর্তে দালান-কোটা বানাতে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন এখানকার মানুষ।

 

১০ নং  পুনটি ইউনিয়নের এক ব্যক্তি  জানান, মাটির ঘর তৈরি করতে প্রথমে এঁটেল বা আঠালো মাটি কাদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করাতে  হয়। ১০-১৫ ফুট উঁচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড় অথবা টিনের ছাউনি দেওয়া হয়। এসব মাটির ঘর তৈরি করতে কারিগরদের সময় লাগতো দেড় থেকে দু’মাস। এক সময় আমাদের এলাকার প্রতিটা ঘর মাটি দিয়ে তৈরি করা হত। অনেকেই মাটি, বাঁশ, টিন সংগ্রহ করে নিজেরাই মাটির ঘর তৈরি করত।

 

তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি একটি মাটির বাড়ি শত বছরেও বেশি স্থায়ী হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে কালের বিবর্তনে ইটের দালান কোটা আর বড় বড় অট্টালিকার কাছে হার মানছে মাটির বাড়ি ঘর। মাটির ঘরে দেয়ালে কাট বা বাঁশের শিলিং তৈরি করে তার ওপর খড় বা টিনের ছাউনি দেয়া হয়। মাটির বাড়ি ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হইতো। গৃহিনীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা এঁকে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে মাটির বাড়ি ঘরের ক্ষতি হয় বলে বর্তমান সময়ে দীর্ঘ স্থায়ীত্বের কারণে গ্রামের মানুষরা ইটের বাড়ি নির্মাণে আগ্রহী হচ্ছেন।

 

তবে মাটির বাড়ি বসবাসের জন্য আরামদায়ক হলেও যুগের পরিবর্তনে আধুনিকতার সময় অধিকাংশ মানুষ মাটির  বাড়ি ভেঙে অধিক নিরাপত্তা ও স্বল্প জায়গায় দীর্ঘস্থায়ীভাবে অনেক লোকের নিবাস কল্পে গ্রামের মানুষরা ইটের বাড়ি-ঘর তৈরি করছেন বলে অনেকের ধারণা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের ফেইসুবক পেইজ