মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির পৃথক অভিযানে গাঁজা ও ফেনসিডিল উদ্ধার রামপালে আগামী সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির প্রচার মিছিল বর্তমান; মসজিদের ইমাম খতিব পরিচালনা দায়িত্ব পালনে উচ্চ মানিও ইসলাম শিক্ষার সু শিক্ষিত হরিঢালী ইউনিয়নের (সাবেক) চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা,(জালাল উদ্দিন সাহেব) কালীগঞ্জে এক আওয়ামী প্রভাবশালী নেতার ভাই  জয় বাংলা থেকে দাঁড়িপাল্লা।  র‌্যাবের বেড়াজালে মোঃ বিল্লাল হোসেনসহ ৪ জন আটক মাদক ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা মহেশপুর সীমান্তে। চিরিরবন্দর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সবুজ শ্যামল ছায়ার শান্তির  নীড় মাটির ঘর গেন্ডারিয়া থানা পুলিশের বেড়াজালে আটক মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শামিম হোসেন জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন জামে মসজিদ সংলগ্ন একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসা উদ্বোধন  ফেইক আইডির ভূয়া সংবাদের প্রতিবাদ
বিজ্ঞপ্তি :

৫নং কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহারুল দেশ ছেড়ে পালানোর সময় গ্রেফতার।

 

স্টাফ রিপোর্টার,মো:আসাদুল হক। 

গত ২৮নভেম্বর অনুমানিক রাত ১:১০ঘটিকার সময় ঢাকা আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফার করা হয়েছে।গ্রেফতারের পর আজ ২৮ নভেম্বর সকাল ৯টায় পাইগাছা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।কপিলমুনি বিএনপির করা মামলায় তাকে গ্রেফাতর দেখানো হয়েছে বলে জানা তথ্যসূ্ত্রে।যাহার মামলা নং ০৮/১২০ তাং২৬/০৮/২৪।

গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর থেকে বাহারুল পলাতক ছিল।বাহারুল ছিল আওয়ামী সরকারের দোষর।আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে ছিল।এই বাহারুলের কি ছিল কয়রাবাসীর সবার জানা ছিল।তার বাবা ফজর সানা ছিলো সামান্য একজন আমিন।প্রথমদিকে, তাদের সম্পত্তির পরিমান ছিল সামান্য তিন বিঘা জমি।বাহারুল এক সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাকালীন সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয়েছে জমিদখল,ঘেরবেড়ীদখল,খালদখল,চাঁদাবাজী,নারী অপহরন, সন্দুরবনে বনদসদ্যু চালানো সকল প্রকার অপকর্মের সাথে সে জড়িত ছিল। এই বাহারুল ছিল ক্ষমতা ও অর্থলোভী ব্যক্তি।টাকা ও ক্ষমতা ছিল তার কাছে জীবনের মূল অংশ।তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে কয়রা উত্তরচক মাদ্রাসার শিক্ষক নির্যাতনের মামলা রয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোষর বাহারুল গত ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে।এই নির্বাচনে টাকা ও ক্ষমতার জোরে রাতের আধারে ব্যালট বক্স ছিনতায় করে জাল ভোটের মাধ্যমে কয়রা সদরের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।তখন থেকে বাহারুলের অপকর্ম আর দিগুন হতে থাকে।নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় বসার পর ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে আসা বিভিন্ন সামগ্রী,সরকারী বাজেটের টাকা পয়সা অসহায়, গবীর,দুঃখী মানুষকে না দিয়ে কিছু অংশ নিজস্ব আত্মীয়স্বজনকে দিয়ে বেশির ভাগটাই নিয়ে নিজের পকেটে ভর্তি করত।চেয়ারম্যান থাকাকালীন অবস্থায় ও তার নামে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।সে ইউনিয় পরিষদে আসা সরকারী পানির ট্যাংক দেওয়ার কথা বলে গরীব অসহায় মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং বিভিন্ন এনজিও ও প্রকল্প থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। বাহারুল ও তার বাবা বহু মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্যের জমির পাওয়ার নামা নেয়। পরে পাওয়ার নামাকৃত সেই জমি নিজেদের নামে রেজ্রিস্টী করে নেয়। এভাবে কয়রা বাজারে বহু গরীব অসহায় মানুষের সম্পত্তি তারা বাবা ও ছেলে মিলে দখল করে নেয়।এই বাহারুল অন্যের জায়গা দখল করে কয়রা কপোতাক্ষ কলেজের সামনে গড়ে তুলে পাঁচতলা বিশিষ্ট বাদশা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।বাহারুল কয়রায় শেখ রাসেল প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা করে সেখানে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে বহু মানুষের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিছে।বিশেষ সূত্র আর জানা যায় সে অবৈধ পথে বহু টাকা পয়সা এবং স্থাবর ও অস্থাবর বহু জায়গা জমির মালিক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের ফেইসুবক পেইজ