ভোলা প্রতিবেদক-
ভোলার বোরহানউদ্দিনে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক বাহার মিয়া (৩৫) নামের এক যুবকের ঘরে অনশন শুরু করেছে সুদূর লালমোনির হাট থেকে আসা এক যুবতী। ২৭ (সেপ্টেম্বর) শনিবার সকাল থেকে উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের হাজী বাড়িতে এ অনশন শুরু করেন ওই যুবতি।
এদিকে, প্রেমিকার উপস্থিত টের পেয়ে বাহার মিয়া নামের ওই প্রেমিক গা ঢাকা দিয়েছেন। যুবতি বাহার মিয়ার ঘরে প্রবেশ করলে প্রেমিকের সাবেক স্ত্রী ও মা-বোন ওই যুবতিকে বেধড়ক ভাবে মারধরে করে ঘর থেকে বেড় করে দেয় এবং ঘরে তালা মেরে তারা অন্যত্র অবস্থান করে। বাহার মিয়া গ্রামের দিন মোহাম্মদের ছেলে।
ভুক্তভোগী যুবতী অভিযোগ করেন, তার সাথে বাহার মিয়া একই গার্মেন্টসে চাকুরী করিতেন। তারা পরস্পর একই অফিসে চাকুরী করার সুবাদে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে বাহার তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তাদের উভয়ের সম্মতিতে তাদের বিতর শারিরীক সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রেমিক বাহার তার স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন রেখে তার সম্পর্কের সুবাদে সে বিভিন্ন তারিখ ও সময় তাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়া যায় এবং তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে জোর পূর্ক ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ এই নারীর।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, একাধিকবার তার ঢাকার বাসায় গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ৯ টার দিকে বাহার মিয়া তার সোনারগাঁ থানাধীন কাঁচপুর সাকিনস্থ জনৈক সুমনের বাড়ি অর্থাৎ আমার ভাড়া বাসায় আসে। যুবতীকে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব করিলে তিনি বিয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু বাহার আপাতত বিয়ে করতে পারবে না এবং আরো কিছু দিন পরে বিয়ে করবে বলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক পুনরায় তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন যুবতী। এব পর থেকে ওই যুবতীর সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। যুবতী বাহারের কোন খোজ খবর না পেয়ে তার গ্রামের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন।
যুবতী আরো অভিযোগ করেন, বাহার তার সম্মান নষ্ট করেছে, তাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত তিনি সেখানে অনশন চালিয়ে যাবেন। এবং স্থানীয়রা জানান,আজ সকালে ওই যুবতী বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। বাড়িতে আসার পর বাহারের পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে মারধর করেছেন। তারা আরো জানান, মেয়েটি প্রতারণার শিকার। বাহারের স্ত্রী সন্তান থাকার পরেও সে এমন অনৈতিক কাজ করেছে। তার বিচার হওয়া উচিৎ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাহার মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল সোনারগাঁ থানাধীন সেখানে সে অভিযোগ করলে আইনি সহায়তা পাবেন। বোরহানউদ্দিন আসার পরে যদি তিনি শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন তাহলে বোরহানউদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।