সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ড বাগানবাড়ী এলাকার জাল টাকা ও মাদক ব্যাবসায়ী হানিফ ওরফে রিকশাওয়ালা হানিফ গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছে। জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে তার অবৈধ জাল টাকা ও মাদক ব্যাবসার সংবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রচার হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন। এমনকি রিকশাওয়ালা থেকে রাতারাতি কিভাবে কোটিপতি বনেগেছে সে বিষয়ে খুব শীগ্রই মাঠে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এলাকায় খোজ নিয়ে এ তথ্য জানাগেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারনার অভিযোগ ও রয়েছে।
সুত্রে জানাযায়, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই মাদক সরবরাহ করার জন্য মাদক ব্যবসায়ী হানিফ ওরফে রিকশাওয়ালা হানিফ ও জোসনা মহিলা-পুরুষসহ গড়ে তোলেছেন ৩০/৩৫ জনের একটি প্রতারক চক্র গড়ে তুলেছে। যাদের কাজ হচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জ সহ ঢাকার এর আশপাশের এলাকায় মাদক সরবরাহ ও সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়ে প্রতারনা করে স্বর্ন টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়া। এই দুই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদকও জাল টাকার একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ডিএমপির ডিবি পুলিশ ২০০৫ সালে মো. হানিফ ওরফে রিকশাওয়ালা হানিফকে শ্যামপুর থানার একটি মামলায় (মামলা নং-৫৩) গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও চলে তার রমরমা মাদক ব্যবসা। অন্যদিকে মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত জোসনাকে ২০১৫ সালে বাগানবাড়ী এলাকা থেকে মাদক সহ গ্রেফতার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। (যার মামলা নং-২৩)। মাদক ব্যবসায়ী হানিফ ওরফে খলিফা ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর গ্রামের সুলতান খলিফা ওরফে সুলতান মুন্সীর ছেলে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের বাগানবাড়ী এলাকায় বসবাস করছেন অপরদিকে মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত জোসনা বাগানবাড়ী এলাকার মো. শাহজাহানের স্ত্রী তার স্বামী ভারতের।
এ বিষয়ে হানিফ জানান, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা, আমি সিদ্ধিরগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা আমি সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আমি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে এসব সম্পদ করেছি।