নিজস্ব প্রতিবেদক:
অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আমি বিক্রমপুরের একজন মুগ্ধ ভক্ত। আমি ২/৩ বার বিক্রমপুরে গিয়েছি। তাদের আতিথিয়েতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। এই স্থানের ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সভ্যতা আমাকে খুব আপ্লুত করে। বিক্রমপুর নিঃসন্দেহে দেশের গর্ব। সারাদেশ যদি বিক্রমপুরের মতো হতো; তাহলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেত।’
দুই সংবর্ধিত ব্যক্তিত্বের জন্য শুভ কামনা করে তিনি বলেন, ‘তারা শুধু বিক্রমপুর নয়, বাংলাদেশের গর্ব।’ প্রধান অতিথি তার ভাষণ শেষে সম্মাননাপ্রাপ্ত দুজনের হাতে উপহার হিসেবে দুটি তৈলচিত্র তুলে দেন। গত ১৩ মে বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বিক্রমপুরের দুই কৃতি সন্তান একজন অনুজীব বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, যিনি ২০২২ সালে বিজ্ঞানে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স্বীকৃতি একুশে পদক। অন্যজন খ্যাতিমান কথাশিল্পী, কবি, সম্পাদক, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী অধ্যাপক ঝর্না রহমান। ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এ দুই কৃতি সন্তানকে সংবর্ধিত করেছে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন।
জমকালো অনুষ্ঠানে সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সুমা রায়। গান গেয়েছেন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ড. মকবুল হোসেন। এ দুজনের হৃদয় ছোঁয়া গানে বিমোহিত হলেন অভ্যাগতরা। সংগঠনের পক্ষে এ দুই গুণী শিল্পীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শায়লা তিথী ও আরিফ সোহেল।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের ‘বঙ্গীয় গ্রন্থ জাদুঘরের জাতীয় কমিটির সভাপতি এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী সদ্য প্রয়াত এএমএ মুহিতের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব। সংবর্ধিতদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া (ডা. মো. আনোয়ার হোসেন) এবং কামরুন্নেসা হোসেন (অধ্যাপক ঝর্না রহমান)। মানপত্র দুটি সংবর্ধিত দুই গুণীজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুভেচ্ছা ভাষণ দিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও রামপাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হাসান। অনুষ্ঠান সূচনায় ছিলেন নাছির উদ্দিন জুয়েল।