স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আছাদুল হক:
কয়রা উপজেলার ১ নং আমাদী ইউনিয়নের মসজিদকুড় গ্রামে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত গুটিকয়েক ব্যক্তির নেতৃত্বে ভুক্তভোগীর জমি দখল করা হয়েছে৷ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি মোঃ মাসুদ রায়হান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান জমির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা করার লক্ষ্যে নিজে বাদী হয়ে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে এবং আবেদন টি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় গত বুধবার সকালে মসজিদকুড় গ্রামের জুলফিকার আলী সানা এবং তার চাচা মাসুম বিল্লাহ বাদীর অনুপস্থিতে বিবাদী পক্ষ মোঃ রমজান আলীকে সা
থে নিয়ে জোর পূর্বক সীমানা পুনঃনির্ধারণ করতে যায়।
বাদী পক্ষ বারবার মুঠোফোনের মাধ্যমে তাদের অনুপস্থিতিতে সীমানা পুণঃ নির্ধারণ করতে নিষেধ করা সত্ত্বেও অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি জোর পূর্বক সীমানা পুণঃনির্ধারণ করে সীমানা পিলার পুতে রেখে আসে।
এ অবস্থায় বাদীপক্ষের বাড়ির লোকজন মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে টের পেয়ে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। বিগত কয়েক মাসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এরূপ জমি দখল, বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ সহ আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে বিবাদী মোঃ রমজান আলী বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত থাকায় বাদী পক্ষকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে আরও জানা যায় অভিযুক্ত জুলফিকার আলী এবং মাসুম বিল্লাহ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগী ব্যক্তি ছিলেন। তাদের বাড়িতে আওয়ামী নেতৃবৃন্দ, খুলনা-৬ এর সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু এর অবাধ যাতায়াত ছিলো। এমনকি মসজিদকুড়ের ঐতিহ্যবাহী পীর খান জাহান আলীর মসজিদ ভ্রমণে আসা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিমন্ত্রীকে বাসায় দাওয়াত করে খাওয়ানোর অভিযোগ ও আছে তাদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তারা খোলস পাল্টে জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন জামায়াতে ইসলামী এসব ঘটনাকে অতীতেও প্রশ্রয় দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও দিবে না। জামায়াতের নামে সংঘটিত হওয়া এমন নৈরাজ্যকর বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ জানান।