শাহজালাল সুজন:
ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। ভেদাভেদ ইসলামে কোন স্হান নেই। ইসলাম সলম ধাতু থেকে উৎপন্ন যার অর্থ হলো শান্তি। শান্তির দূত বৈষম্যের বেড়াজাল থেকে মানুষ কে মুক্ত করার জন্য যুগে যুগে শান্তির ধারক বাহক রূপে মহান আল্লাহ্ পাক নবী- রাসূল প্রেরণ করেছেন। প্রত্যেক নবী- রাসূলের জামানায় এই শান্তিই প্রতিষ্ঠা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন যা বর্ণনাতীত।
তেমনি শেষ জামানায় মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ নবী এবং রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রেরণ করেছেন শান্তির দূত হিসাবে। তিনি মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ বৈষম্য ধনী গরীবের তারতম্য এই জিনিসগুলো থেকে বের হওয়ার জন্য মানুষকে তার অমূল্য বাণী শুনিয়েছেন এবং ধর্মের দিকে দীক্ষিত করেছেন। সমাজের ভেদাভেদ বৈষম্য এগুলো দূর করার জন্য ইসলামে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাগিদ রয়েছে আর এর বেড়াজাল থেকে মুক্তির জন্য সদকা, দান, খয়রাত এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আজকে দান, ছদকা, ফিতরা দেওয়া থেকে মানুষ বিরত।
কারণ মানুষ বর্তমান যুগে কৃপণতার বেড়াজালে আচ্ছাদিত হয়ে আছে। রাসূল পাক সাঃ হাদিস পাকে বলেছেন কৃপণ ব্যক্তি আবেদ হলেও জান্নাতে প্রবেশ করবে না তাহলে যার সামর্থ্য আছে দান করার সদকা দেওয়ার ফিতরা দেওয়ার অথচ সে কৃপণতার কারণে ধান থেকে বিরত রয়েছে এবং তার প্রতিবেশী কোন অবস্থায় কিভাবে দিন কাটাচ্ছে সেও খোঁজখবর সে নিচ্ছে না সেই ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত এমনকি কোন কিছুই মহান আল্লাহ পাকের কাছে তার আমল গুলো গ্রহণ হবে না কারণ সে কৃপণ।
এই বেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে পারলে দান সদকা ফিতরা সঠিকভাবে বন্টন করতে পারলে আমাদের সমাজ থেকে এই দারিদ্র্য বিমোচন অনেকটা লাঘব হয়ে যাবে। আল্লাহ পাক বলেছেন আরশের ছায়ায় হাশরের মাঠে সাত ধরনের ব্যক্তি থাকবে তার মধ্যে দান বা সদকা কারী ব্যক্তিও ওই আরশের ছায়ায় থাকবে। আবুল খায়ের রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক হাশরের মাঠে যখন বিচারকার্য শুরু করবেন তথা বিচার কার্য শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দুনিয়াতে যে ব্যক্তি দান করেছেন ওই দানের ছায়ার নিচে ঐদিন অবস্থান করবে।
সুতরাং ধান যেমন দুনিয়াতে আত্মতৃপ্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং দুনিয়াতে এর যেমন মহান আল্লাহ পাকের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান পাওয়া যায় ঠিক তেমনি শেষ জীবনে হাশরের মাঠেও মহান আল্লাহ পাক তাকে সম্মানের আশা প্রতিষ্ঠিত করবেন।
___লেখকঃ শাহজালাল সুজন
আধ্যাত্বিক গবেষক ও কবি।